
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় মনির উদ্দিন রিপন নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত রিপন উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের ভানুশ্বর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় আহত যুবকের বড় ভাই মহিউদ্দিন বাদি হয়ে ওই গ্রামের মোঃ তুরান ও শাখাওয়াত হোসেনসহ ৬ জনকে আসামী করে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত মার্চ মাসে লকডাউন চলাকালে মহিউদ্দিনের পৈত্রিক সম্পত্তিতে একই এলাকার আলী আশ্রাফের ছেলে মোঃ তুরান ও শাখাওয়াত হোসেন জোরপূবর্ক সীমানা প্রাচীর নির্মানের চেষ্টা চালায়। মহিউদ্দিনের ছোট ভাই রিপন সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাধা দেয়। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সামাজিকভাবে মীমাংশার আশ্বাস দেন। প্রতিপক্ষ সামাজিক মীমাংশার তোয়াক্কা না করে বহিরাগত ৪-৫ জন সন্ত্রাসী দিয়ে ৪ মে সোমবার রিপনকে দুপুর বেলায় ঘর থেকে টেনে হিছড়ে বের করে এলোপাথারি পিটিয়ে আহত করে। তার চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা রিপনকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। ওইদিন বিকালে তার উপর হামলার ঘটনাটি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানাতে কনকাপৈত ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার পথে ভানুশ্বর রাস্তার মাথা নামক স্থানে পথ রোধ করে দলবদ্ধ ভাবে হাতে লাঠি নিয়ে পুনরায় হামলায় চালিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এবং দারালো দা দিয়ে ভয়ভীতি দেখায়। হামলা করা অবস্থায় সন্ত্রাসীরা তাহার পকেট থেকে নগদ ১৫,৫০০ টাকা ও ব্যবহৃত মোবাইলটি নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ঢাকায় বসবাসকারী রিপনের বড় ভাই মহিউদ্দিন ১০ মে বাদি হয়ে ৬ জনকে বিবাদী করে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বিবাদীরা হলেন - ১। তুরান (৩২), ২। আবুল কালাম মামুন (৩৫), উভয় পিতা : আলী আশরাফ, সর্ব সাং- ভানুশ্বর, ৩। শাখাওয়াত হোসেন (৩০), পিতা- মোখলেছুর রহমান, সাং- সাঙ্গিশ্বর, ৪। সোহাগ চৌধুরী (৩০), পিতা- রুহুল আমিন চৌধুরী, সাং- চিওড়া, ৫। দিপক (২৮), পিতা- আমিন, সাং- হিঙ্গুলা, ৬। অনিক (২৩), পিতা- নুরুল আমিন, সাং- ঝাটিয়ারখিল, সর্ব থানা- চৌদ্দগ্রাম, জেলা- কুমিল্লা।
উল্লেখ, রিপন গত ৪ মে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে ১৫ মে পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। পরে ১৫ মে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়িতে চলে যায়। বাড়িতে যাওয়ার পর ২১ মে পূর্বের জখমের জেরে আবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় রিপনকে পুনরায় চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।
মামলার বাদি মহিউদ্দিন অভিযোগ করেন, লকডাউনের সময় আমরা বাড়িতে না থাকায় সন্ত্রাসীরা অন্যায়ভাবে আমার ভাই রিপনের উপর হামলা ও প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। এছাড়া মামলা উঠিয়ে না নিলে পাল্টা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হবে বলে হুমকি দিচ্ছে। আমার ভাই রিপন এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
No comments:
Post a Comment