রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নে মনিগ্রাম টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ এর ভারপ্রাপ্ত পিন্সিপাল মোঃ মাহফিজুর রহমান মিরন এর বিরুদ্ধে ফরম ফ্রিলাপের টাকা আত্মসাৎ সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায় মিরন দ্বায়িত্ব পাবার পর থেকে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে কলেজের ছাত্র/ছাত্রীদের কাছ থেকে রেজিঃ ও ফরম ফ্রিলাপের নামে প্রায় এক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। বিভিন্ন সময় বিনা রশিদ এ ছাত্র/ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে থাকে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় বাঘা ইউএনও বরাবর অভিযোগ পত্র জমা দেই একাধিক শিক্ষক।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায় মিরন ২০১৯ সালে (ভোকেশনাল) শাখায় এবং ২০২০ সালে এইচ এস সি(বি এম)শাখায় ছাত্র/ছাত্রীদের কাছ থেকে ফর্ম ফ্রিলাপের নামে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।যার কোন হিসাব এখন পর্যন্ত সে দিতে পারেনি। এ বিষয়ে মাহফিজুর রহমান মিরন কে জানতে চাইলে মোবাইল ফোন এ বলেন আমার কাছে কোন টাকা নেয়। আমার কাছে দশ হাজার টাকা ছিলো সেটা ছাত্র-ছাত্রীদের বিদায় অনুষ্ঠানে উপহার দেওয়ার কাজে খরচ হয়েছে তিন হাজার টাকা। বেতন এর কাগজ নিয়ে ঢাকা যেতে আসতে খরচ হয়েছে ৩ হাজার টাকা।বাকিটা আমার কাছে আছে। আমার নামে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। দু একজন শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ করে আসছে। কিন্তু তার কোন প্রমান ওরা করতে পারেনি।
এ বিষয়ে মনিগ্রাম টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের এক শিক্ষক বলেন, তিনি দ্বায়িত্ব পাবার পর থেকেই নানা দুর্নীতি করে আসছেন। ছাত্র/ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া ও টাকার লোভে নিয়ম না মেনে ভুয়া নিয়োগ বাণিজ্য করে সে। উল্লেখ যে গত ৩ জুন বাঘায় কলেজের নিয়মবহির্ভূত ভাবে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ শিরোনামে বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পোটাল নিউজ করেছে। তারপর ও সে কোন পরোয়া না করে সেই শিক্ষকের বেতনের জন্য স্বাক্ষর করে বেতন ফাইল তৈরি করে ডিজিতে পাঠানোর প্রস্তুত করেন।
কোন শিক্ষক তাকে মান্যকরেনা তার গায়ের জোরে সে সবাই কে ভয় দেখিয়ে এমন অপকর্ম করে। মাহফিজুর রহমান মিরনের দূর্নীতির অভিযোগ দুবার ইউএনও কে দেওয়া হয়েছে কিন্তু তিনি এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেইনি।
এবিষয়ে এক শিক্ষক বলেন মিরন ফর্ম ফ্রিলাপের নামে এক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে । তবে কিছু টাকা ওর কাছে আছে, এই টাকার হিসাব চাইলে মাহফিজুর রহমান (মিরন) বলেন উন্নয়ন কাজে খরচ হয়েছে। কিন্তু কোন উন্নয়ন এবং খরচের কোন কাগজপত্র সে দেখাতে পারেনি।
কলেজের অভিভাবক সদস্য আব্দুল্লা বলেন বিষয়টি সম্পকে আমি কিছু জানিনা।আমি এই বিষয়ে কোন কথা বলতে চাইনা। দেশে তো কতো সাংবাদিক আছে এতো প্রমানের দরকার কি।আমি কিছু বলতে চাইনা।
এবিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহিন রেজা বলেন, এই বিষয়টা আমার জানা নাই। এমন কোন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি।

No comments:
Post a Comment