সুব্রত কুমার,বাঘা,(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাসের কারণে সব ধরনের ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ ঘোষণা করা হলেও তা মানছেন না রাজশাহীর বাঘা উপজেলার এনজিওগুলো। জানা গেছে গত কয়েকদিন থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এনজিও প্রতিষ্ঠান গুলো ঋণ গ্রহীতার কাছে বিভিন্ন ধরনের চাপ দিয়ে ঋণ আদায় করছে ।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এনজিও প্রতিষ্ঠানের মাঠকর্মীরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে চাপের মুখে ফেলে কিস্তির টাকা আদায় করছে। এতে জনমনে তৈরি হয়েছে তীব্র ক্ষোভ। এদিকে সরকারের নির্দেশে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এনজিও ঋণ শ্রেণিকরণ কার্যকর হবে না বলে নির্দেশনা জারি করেছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ)। সেই সঙ্গে নির্ধারিত সময় শেষে কোনো প্রকার জরিমানা ছাড়াই বকেয়া কিস্তি গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়াও রাজশাহী জেলা প্রশাসক গতকাল তার ফেজবুক পেজে একটি পোস্টে লিখেন, এনজিও থেকে গৃহীত ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি পরিশোধে কোনও ঋণ গ্রহীতাকে ৩০জুন/২০ কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা যাবে না। কিন্তু বাঘা উপজেলার এনজিওগুলো এ নির্দেশনা না মেনে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কিস্তির টাকা আদায় করছে এবং যাদের এই লকডাউনের মাঝে ঋণ পরিশোধের সময় পার হয়ে গেছে তাদের আগামী সাত দিনের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে ঋণ গ্রহীতারা জানান।
এনজিও (আই ডি এফ) বাঘা শাখার ম্যানেজার প্রদীপ কুমারের সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, প্রধান মন্ত্রীর দপ্তর ও মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) সহ তিনটি চিঠি আমাদের কাছে আছে যেখানে কিস্তি আদায়ের অনুমতি আছে ।
সরজমিনে উপজেলার বিনোদপুর এলাকার এক ঋণ গ্রহীতা নাম প্রকাশ না করা শর্তে অভিযোগ করে বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে দেশ যখন আতঙ্কিত আর এই সময় (আই ডি এফ) নামের এক এনজিও এর মাঠ কর্মীরা আজ সকালে কিস্তি আদায় করতে এসে বলেন , আপনার ঋণ পরিশোধের মেয়াদ লকডাউনের মাঝে শেষ হয়ে গেছে , তাই আপনি আগামী ০৭(সাত) দিনের মাঝে পরিশোধ করবেন। কিন্তু আমি কি ভাবে পরিশোধ করবো বর্তমান দেশের এই অবস্থার মাঝে । আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এমন সময়ে যেন আমাদের যেন চাপের মুখে ঋণ আদায় করা না হয় ।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহিন রেজার সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আগামী ৩০শে জুনের আগে কোন এনজিও ঋণ গ্রহীতার কাছে থেকে কিস্তি আদায় করতে পারবে না ।

No comments:
Post a Comment